জাকারিয়া
এই যে তুমি দূর থেকে কাছে টানো
অদৃশ্য সুতো ধ'রে;
ইচ্ছে খুশি ভাবাও আমায় তোমার ইশারাতে।
নিদ্রাতুর ভুবনও রাখো তোমার মুঠোবন্দি,
তুমি'ই কলকাঠি নাড়ো স্বপ্নে জাগরণে।
এই যে এক মুগ্ধ সকাল ফেলে
আমি মাতি তোমায়; কথোপকথনে!
ঝিম ধরা বিকেলে ক্লান্তির রেশ রেখে
ধূসর আমি; তবু তোমায় রাঙাই রঙের বাহারে।
নিশির ঘোর তামসীতে যখন, জোনাকিরা আলোর খেলায় মাতে
উপেক্ষিত এসব! তোমায় নিয়ে হারাই আমি ভ্রান্ত খেয়ালে।
রজনীর আচ্ছাদন সরিয়ে প্রত্যূষ আসে;
পূবের আকাশ রাঙে সোনালি-রক্তিম আভায়।
তখনও আমি মগ্ন থাকি অলীক চিন্তায়।
এই যে কাঠপোড়া গ্রীষ্ম আসে যায়;
কাঁপুনি দিয়ে আসে হিমশীত।
উৎসব আমেজে নবান্নের ঢল নিয়ে আসে হেমন্ত;
কই? আমি তো কিছুই খু্ঁজে পাইনা অনুভবে -
তোমাকে নিয়ে যে আমার বারোমাস'ই বসন্ত।
তবু বিরক্তি পেয়ে বসে না আমায়,
একগুঁয়েমি ঠাঁই পায় না মর্মদেশে।
আচ্ছা, এসব'ই বুঝি প্রণয়!
- না! এটা কেবল'ই তোমার মায়া! অতৃপ্ত মায়া!
যে মায়ামোহে বন্দী কয়েদী আমি!
প্রণয় তো হবে মুক্ত বিহঙ্গের মত;
ঘুরে বেড়াবে ইচ্ছা স্বাধীন।
কিন্তু আমি -?
আমি তো আপন অস্তিত্বে তোমার পরাধীন!

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন