শুক্রবার, ১৬ মার্চ, ২০১৮

চলুন, অন্তত একবার মরি


লেখক: Mehedi Hassan Tamim
প্রকাশনী:ঐতিহ্য
প্রকাশকাল: ২০১৮ অমর একুশে গ্রন্থমেলা
পৃষ্টা সংখ্য: ১১২
রিভিউ- অনিক চৌধুরী
----------
বই সম্পর্কে বলতে গেলে তো প্রচুর কথাই বলা যায়। পড়ার পর অনুভূতি আর আগের অনুভূতি!  অনেক কিছুই বলে শেষ হবে না....
বইটি মূলত বাস্তবভিত্তিক। লেখক বইটিতে আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে ফুটিয়ে তুলেছেন।  আর এমন কিছু চরিত্র তুলে ধরে যেসব চরিত্র সম্পর্কে আমাদের চিরকালই অভিন্ন চিন্তাধারা হয়ে আসছে। তাদের পিছনের লুকিয়ে থাকা মনুষ্যত্ববোধ কে লেখক তুলে ধরেছেন।বইটিতে লেখক ২২টি গল্পকে সাজিয়েছেন যা তার অন্তরে ধারণ করা প্রতিপাদ্য।

বইটির দুই একটি গল্পের নাম তুলে ধরার চেষ্টা করছি-
১. পতিত
২.স্বাদ
৩.ডাবের ভবিষ্যৎ
৪.ধ্রুপদনামা;মেরুদন্ড
৫.বিকৃত
৬.তোমাকেও বাঁচাতে পারে আনন্দ- তার হাত ধরে বাঁচো
৭-সোনুম ওয়াংসুক; অনুপ্রেরণার গল্প ইত্যাদি।
লেখক সম্পর্কে ব্যাক্তিগত ধারণা-
দূরত্ব??
সে তো অতিক্রম করেছি বহু পূর্বে। সে তুলনায় ৩১৪ কিলোমিটার তো নগন্য! গ্লোবাল ভিলেজের ফলে বিশ্ব তো হাতের মুঠোয়। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগেরর মাধ্যম তো আছেই....
বেশ কিছুদিন আগেকার কথা....
আমার ফ্রেন্ডলিস্টে স্থান পেতেছিল এক আগন্তুক! উনি ছিলেন একজন নতুন প্রজন্মের লেখক এবং কথা সাহিত্যিক। তার কিছু পোস্ট দেখি যেগুলো ছিল মূলত কয়েকটা বইয়ের প্রচ্ছদ। বিশেষ করে শিশুতোষ ছড়া আর গল্পের বইয়ের। প্রথমেই বেশ চাঞ্চল্যতা অনুভব করি। তাও সেটা জনসম্মুখ প্রকাশ করলাম না। অগোচরেই রয়ে গিয়েছিল তা। বেশ ক'দিন আগে উনার একটি পোস্টে কমেন্ট করি এবং "চলুন, অন্তত একবার মরি" বইটি পড়ার আগ্রহ প্রকাশ করি। তবে এই কথা স্বীকার করতে হয় যে উনার পাঠকদের প্রতি একটা অজানা আকর্ষণ আছে এবং সাথে ভালোবাসাও। তাই হয়ত নিজে থেকেই পাঠকের আগ্রহ এবং ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে নিজেই বইটি কুরিয়ার করলেন। আর উনি হলেন প্রিয় ভাইয়া মেহেদী হাসান তামিম
ভাইয়া আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ এইভাবে অজানা এক ব্যাক্তিকেও আপন করে নেওয়ার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।  সৃষ্টিধর প্রতিটা মুহূর্তে আপনাকে ভালো রাখুক এই আশা ব্যাপ্ত করি ভাই। পরে আরো ভালো কিছুর অপেক্ষায় থাকব ভাইয়া।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নতুন লেখাগুলো পড়ুন...

      দুশ্চিন্তার চিকিৎসা   মূল: রশিদ আহমদ লুধিয়ানভি উর্দু: مفتی رشید احمد لدھیانوی ‎‎ জন্মঃ ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯২২ মৃত্যু...