গোধূলির শেষক্ষণ, স্যাঁতস্যাঁতে দেওয়ালের এপাশ থেকে গিরগিটী ছুটে গেল। অন্যকিছুও হতে পারে। পশ্চিমের ভাঙা জানালার ফাঁক গলে যে তীক্ষ্ণ আলো নড়বড়ে টেবিলের উপরে পড়েছে, সেটা হারাবার আগেই অন্তত আরেক অণুচ্ছেদ লিখতে হবে লেখককে। আলো স্বল্পতায় লেখকের চোখ টাঁ-টাঁ করছে। তারপরে দিনের শেষ শব্দ লেখার জন্য চরম খিদে তার।
দক্ষিণের কোণে ছাদের ঠিক নিচে ফাটল। ওখানটায় নাম না জানা কোন আগাছা শক্তদর্পে মুখ বের করেছে কদিন হল, লেখক সেটা আগে দেখেনি। গিরিগিটী দৌড়ে গিয়ে সেই আগাছার উপরে বসেছে, তার চোখ জ্বলজ্বল করছে। লেখক একবার সেদিকে দৃষ্টি দিয়েই ফিরিয়ে নিলো, আলো যায় যায়।
ধীর পায়ে দরজার মুখে চন্দ্রাবতী, ভাঙা দরজার একমাত্র কপাট ধরে দাঁড়িয়ে আছে সে। এক হাতে মাটির পেয়ালায় গরম কালো কফি আর অন্য হাতে মোমবাতি। সলতে পুড়ছে, মোম গলে বেয়ে বেয়ে হাতে পড়ছে চন্দ্রাবতীর। সে চোখ বন্ধ করে দাঁত কামড়ে সয়ে যাচ্ছে জলন্ত মোমের তাপ। লেখক নিজে দৃষ্টি না ফেরালে কোন ভাবেই সে তাকে বিরক্ত করতে চায় না।
বাইরের সূর্য কূল হারিয়েছে, খাতার উপর থেকে লেখকের শব্দগুলোও অস্পষ্ট হচ্ছে, হটাৎ সে মৃদু আলো টের পায় দরজার মুখে।
নড়বড়ে চেয়ার ছেড়ে উঠে আসে সে, মুখোমুখি চন্দ্রাবতী। তার বাঁ'হাতের জলন্ত মোমবাতির আগুনে মুঠো করে নিভিয়ে দেয় লেখক। চন্দ্রাবতীর চোখে অশ্রু...
চন্দ্রাবতী বলে, 'লেখক!'
লেখক বলে, 'সূর্যের আলো দিনভর হৃদয়ের শব্দগুলো খাতায় বুনেছে। আর রাতের শুভ্রতায় চন্দ্রাবতী লেখকের ভেতরবাড়িতে আলোক শব্দের বিচ্ছুরণ ঘটাবে।'
নড়বড়ে চেয়ার ছেড়ে উঠে আসে সে, মুখোমুখি চন্দ্রাবতী। তার বাঁ'হাতের জলন্ত মোমবাতির আগুনে মুঠো করে নিভিয়ে দেয় লেখক। চন্দ্রাবতীর চোখে অশ্রু...
চন্দ্রাবতী বলে, 'লেখক!'
লেখক বলে, 'সূর্যের আলো দিনভর হৃদয়ের শব্দগুলো খাতায় বুনেছে। আর রাতের শুভ্রতায় চন্দ্রাবতী লেখকের ভেতরবাড়িতে আলোক শব্দের বিচ্ছুরণ ঘটাবে।'
চন্দ্রাবতী লেখকের বুকে মাথা নুয়ে দেয়...... ভাঙা পুরানো স্যাঁতস্যাঁতে ঘরে অন্ধকার নেই!

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন