আব্দুর রহমান সাইফ
তোমাকে বলছি শোন! আমি তোমাকেই বলছি,
ভেবে কি দেখেছ কোথায় আমরা দ্রুতলয়ে চলছি!
রোজ সকালেই সূর্য ওঠে বিকালে সে অস্তগামী,
শেষদিন তাক্ রবে ঠিকই সে থাকব না আমি-তুমি।
রাতের আকাশে পূর্ণিমা চাঁদ ছড়ায় কিরণ তার,
দেখেছে সে কত উত্থান-পতন কারি-কুরি বিধাতার।
ভেবে কি দেখেছ কোথায় আমরা দ্রুতলয়ে চলছি!
রোজ সকালেই সূর্য ওঠে বিকালে সে অস্তগামী,
শেষদিন তাক্ রবে ঠিকই সে থাকব না আমি-তুমি।
রাতের আকাশে পূর্ণিমা চাঁদ ছড়ায় কিরণ তার,
দেখেছে সে কত উত্থান-পতন কারি-কুরি বিধাতার।
ধূলিকণাগুলো নিরব সাক্ষী কাল থেকে মহাকাল,
অঙ্গে জড়ায়ে সে ধারণ করে পরাজিতের খুন লাল।
যার পদাঘাতে কাঁপিত ধরণী সে আজ ধরণীতল,
নিরব-নিথর দেহে পড়ে আছে ভারী অসহায় নিশ্চল।
কষ্টের বোঝায় পিষ্ট হয়ে যারা তুলেছিল হাহাকার,
তারাও আজ একই ভূমিতলে মিলেমিশে একাকার।
শাসক-শোষিত পাশাপাশি রয় নেই তো অহংবোধ,
স্নিগ্ধমাটির পরশে দমেছে ঐ দু'দলের যত ক্রোধ।
শৌর্য-বীর্যে অর্থ-বিত্তেয় অমর কি কেউ থাকে!
সৈন্যসামন্ত কে পারে ঠেকাতে যমেতে যখন ডাকে!
মরণের কাছে হার মেনে যায় বীর-মহাবীর সব,
আলেকজান্ডার, রুস্তোম, চেঙ্গিস কোথা সেই বৈভব!
তারাও ছিল একদিন হেথা ছিল বড় বাহাদুরি,
পৃথিবী তো আছে নিজের মতই তারা গেছে মৃতপুরী।
তুমি, আমি, আমরা রব না কেহ চিরদিন এ ধরায়,
কালের চাকা ঘুরে ফিরে ঠিকই থামবে ভাঙ্গা-গড়ায়।
কাটাকাটি শেষে শূন্যই রবে নিঃশেষে ভাগশেষ,
মরণের তোড়ে ভেসে যায় সব থেকে যায় তার রেশ।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন