আল আমিন
স্বাধীনতা এবং কিছু প্রশ্ন
স্বাধীনতা বলতে আমরা কী বুঝি? অনেকের ধারণা এমন- স্বাধীনতা মানে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করা। কথাটা ঠিক, তবে পরিপূর্ণ না। তাহলে এখন জানতে চাইবেন স্বাধীনতা কী? আমি বলি স্বাধীনতা হলো- স্বধীনভাবে পথচলা যেন অন্যের স্বধীনতায় হস্তক্ষেপ না হয়।দেশ স্বধীন হওয়ার প্রায় অর্ধশতকে এসেও আমরা স্বাধীনতার অর্থটাই বুঝতে পারিনি।তাইতো ১৯৭১ এর পরেই দেশের আকাশ শোষকের কালো থাবায় বারবার ঢেকে গেছে।
বর্তমানে স্বাধীন বাংলার অবস্হা অনেকটা নিশীপল্লীর মত, সরকার বদলের সাথে সাথে সিন্ডিকেট পাল্টে যায়।পাল্টে যায় বিনেপয়সায় ভোক্তারা।
তবে সাধারন লম্পটদের অবস্থা একই থাকে।তারা চক্ষুলজ্জায় চোখ তুলে কিছু বলতেও পারে না।প্রশাসনের ভুমিকাটা এখানে থাকে দর্ষক বা সহযোগী হিসাবে।
আমরা সাধারন জনতা আজ সেই লম্পটদের পর্যায়ে রয়েছি। কান-কালা,চোখ-অন্ধ,পিঠে-ছালা,মুখ-বন্ধ করে আজ সব সহ্য করছি।
মনে রাখবেন, যে জাতি নিজের ভবিষ্যত পরিবর্তনের চেষ্টা করেনা,আল্লাহতায়ালাও তাদের ভবিষ্যত পরিবর্তন করেন না।
আজ খুণ দিয়ে কেনা স্বধীনতায় ঘুণ ধরেছে।
দুর্নীতিই হয়েছে মুলনীতি।
অনিয়মটাই হয়েছে সঠিক নিয়ম।
মুখের ভাষণই হয়েছে শাসনের মুলমন্ত্র।
অভিনেতারা হয়েছে জননেতা।
এখন প্রশ হল কি পেয়েছি আমরা? দেশ তো স্বাধীন হয়েছে, তবুও আমরা কেন স্বাধীন হতে পারলাম না?
খুদিরাম,মাষ্টারদা,প্রীতিলতার পাশে কেন শরীয়তুল্লাহ,দুদুমিয়া,তিতুমীররা উপযুক্ত স্হান পায়না? মুক্তিযোদ্ধাদের দলে, ধুতিপরা ব্রাহ্মণের সাথে কি সেদিন দাড়িওয়ালা মুসলিম ছিলনা? আশান্তির শান্তি কমিটি ছেড়ে কি কোন তেলবেআলেম মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেয়নি? ইজ্জত হারানো মায়েরা আজও কেন বেইজ্জতি হয়? পা হারানো মুক্তিযোদ্ধা কেন আজ অসহায় হয়ে কাঁদে?
আজ বিজয়ের মাসে মনে হয়,আমরা কি সত্যিই বিজয় পেয়েছি? বাংলার আকাশের কোথায় সেই রক্তিম সূর্য?
মনে অনেক প্রশ্ন জাগে যেগুলো এক করলে বিশাল এক মহাকাব্য হবে।যার নাম হবে হয়ত- অসমাপ্ত প্রশ্নমালা।
তবুও হল ছাড়িনি।অনেক বাঙালীর মত আজও চেয়ে আছি দেশের আকাশে-কখন উঠবে বিজয়ের সূর্য?
স্বাধীনতা এবং কিছু প্রশ্ন
স্বাধীনতা বলতে আমরা কী বুঝি? অনেকের ধারণা এমন- স্বাধীনতা মানে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করা। কথাটা ঠিক, তবে পরিপূর্ণ না। তাহলে এখন জানতে চাইবেন স্বাধীনতা কী? আমি বলি স্বাধীনতা হলো- স্বধীনভাবে পথচলা যেন অন্যের স্বধীনতায় হস্তক্ষেপ না হয়।দেশ স্বধীন হওয়ার প্রায় অর্ধশতকে এসেও আমরা স্বাধীনতার অর্থটাই বুঝতে পারিনি।তাইতো ১৯৭১ এর পরেই দেশের আকাশ শোষকের কালো থাবায় বারবার ঢেকে গেছে।
বর্তমানে স্বাধীন বাংলার অবস্হা অনেকটা নিশীপল্লীর মত, সরকার বদলের সাথে সাথে সিন্ডিকেট পাল্টে যায়।পাল্টে যায় বিনেপয়সায় ভোক্তারা।
তবে সাধারন লম্পটদের অবস্থা একই থাকে।তারা চক্ষুলজ্জায় চোখ তুলে কিছু বলতেও পারে না।প্রশাসনের ভুমিকাটা এখানে থাকে দর্ষক বা সহযোগী হিসাবে।
আমরা সাধারন জনতা আজ সেই লম্পটদের পর্যায়ে রয়েছি। কান-কালা,চোখ-অন্ধ,পিঠে-ছালা,মুখ-বন্ধ করে আজ সব সহ্য করছি।
মনে রাখবেন, যে জাতি নিজের ভবিষ্যত পরিবর্তনের চেষ্টা করেনা,আল্লাহতায়ালাও তাদের ভবিষ্যত পরিবর্তন করেন না।
আজ খুণ দিয়ে কেনা স্বধীনতায় ঘুণ ধরেছে।
দুর্নীতিই হয়েছে মুলনীতি।
অনিয়মটাই হয়েছে সঠিক নিয়ম।
মুখের ভাষণই হয়েছে শাসনের মুলমন্ত্র।
অভিনেতারা হয়েছে জননেতা।
এখন প্রশ হল কি পেয়েছি আমরা? দেশ তো স্বাধীন হয়েছে, তবুও আমরা কেন স্বাধীন হতে পারলাম না?
খুদিরাম,মাষ্টারদা,প্রীতিলতার পাশে কেন শরীয়তুল্লাহ,দুদুমিয়া,তিতুমীররা উপযুক্ত স্হান পায়না? মুক্তিযোদ্ধাদের দলে, ধুতিপরা ব্রাহ্মণের সাথে কি সেদিন দাড়িওয়ালা মুসলিম ছিলনা? আশান্তির শান্তি কমিটি ছেড়ে কি কোন তেলবেআলেম মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেয়নি? ইজ্জত হারানো মায়েরা আজও কেন বেইজ্জতি হয়? পা হারানো মুক্তিযোদ্ধা কেন আজ অসহায় হয়ে কাঁদে?
আজ বিজয়ের মাসে মনে হয়,আমরা কি সত্যিই বিজয় পেয়েছি? বাংলার আকাশের কোথায় সেই রক্তিম সূর্য?
মনে অনেক প্রশ্ন জাগে যেগুলো এক করলে বিশাল এক মহাকাব্য হবে।যার নাম হবে হয়ত- অসমাপ্ত প্রশ্নমালা।
তবুও হল ছাড়িনি।অনেক বাঙালীর মত আজও চেয়ে আছি দেশের আকাশে-কখন উঠবে বিজয়ের সূর্য?

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন