মালিহা তাসনিম তাযকিয়া
"এক খোদাভীরু মহীয়সীর গল্প শোন।"
মারদিয়্যা। স্নিগ্ধা সুন্দরী। খুব শান্তশিষ্ট। অত্যন্ত লাজুক। ঘরোয়াভাবে মারদিয়্যার বেড়ে উঠা।
মারদিয়্যার বয়স তখন আট কি নয়, এ সময় তার কিশোরী সুলভ মনে জায়গা করে নেয় যারীফ নামে এক কিশোর।
আর তখন যারীফ মারদিয়্যাদের বাড়িতেই লজিং থেকে পড়াশুনা করতো।
তাই তাকে আরও কাছ থেকে, আরো গভীর থেকে দেখতে পেতো মারদিয়্যা।
যারীফের সব কিছুই ধীরে ধীরে তার ভালো লাগতে থাকে; কথাবলার ভঙ্গি, হাসির খুনসুটি, পোশাক-আশাক এমনকি জুতাটিও।
যারীফের বাসায় ফেরার অপেক্ষায় মারদিয়্যা সব সময় অধীর হয়ে থাকতো। যখনই যারীফ বাড়ীতে ফিরতো, তখনি মারদিয়্যা ছুটে গিয়ে দরজা খুলে দিতো।
মারদিয়্যার বয়স তখন আট কি নয়, এ সময় তার কিশোরী সুলভ মনে জায়গা করে নেয় যারীফ নামে এক কিশোর।
আর তখন যারীফ মারদিয়্যাদের বাড়িতেই লজিং থেকে পড়াশুনা করতো।
তাই তাকে আরও কাছ থেকে, আরো গভীর থেকে দেখতে পেতো মারদিয়্যা।
যারীফের সব কিছুই ধীরে ধীরে তার ভালো লাগতে থাকে; কথাবলার ভঙ্গি, হাসির খুনসুটি, পোশাক-আশাক এমনকি জুতাটিও।
যারীফের বাসায় ফেরার অপেক্ষায় মারদিয়্যা সব সময় অধীর হয়ে থাকতো। যখনই যারীফ বাড়ীতে ফিরতো, তখনি মারদিয়্যা ছুটে গিয়ে দরজা খুলে দিতো।
আর এভাবেই লুকোচুরিতে কেটে যায় দীর্ঘ দুই দুইটি বছর।
মারদিয়্যার কোমল মনে যারীফ আরো গভীরভাবে জায়গা করে নিলো।
নিয়তির কী নির্মম পরিহাস; একদিন হঠাৎ যারীফ ছেলেটি মারদিয়্যার অমূল্য স্বপ্ন নিয়ে অন্যত্র চলে গেলো।
অবুঝ মারদিয়্যা কোমল হৃদয়ের অব্যক্ত কথাটি তখন কাউকে বলতে পারেনি। পারেনি নিজের ব্যথিত মনের অস্ফুট ভাষাটি বুঝাতে যারীফকে। হয়তোবা তাই সে সবসময়ই আনমনা হয়ে যারীফের কথা ভাবতো। কিন্তু সে কখনোই কাউকে হৃদয়েরজ
স্বপ্নিল জগতের করুণ কাহিনীটি শোনাতে পারতো না।
এভাবেই সে শৈশব জীবন পেরিয়ে তারুণ্য জীবনে পদার্পণ করল।
বয়সের বাড়ন্তে বাবা-মা মারদিয়্যার বিবাহের জন্য পাত্র খোঁজা শুরু করলেন।
মারদিয়্যা তখনও চোখ লজ্জায় নিজের অন্তরে পুষে রাখা সেই স্বপ্নচোরা যারীফ ছেলেটির কথা জানাতে পারছিল না।
আর তাই তার মনের ভালোলাগা মনেই বন্দি হয়ে গেলো।
একটা সময় বাবা-মা তাকে যোগ্য এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দিলো।
আর এইভাবেই তার জীবনের রঙ্গিন স্বপ্নটি আমাবস্যার আঁধারে যেন হারিয়ে গেলো....!
অবুঝ মারদিয়্যা কোমল হৃদয়ের অব্যক্ত কথাটি তখন কাউকে বলতে পারেনি। পারেনি নিজের ব্যথিত মনের অস্ফুট ভাষাটি বুঝাতে যারীফকে। হয়তোবা তাই সে সবসময়ই আনমনা হয়ে যারীফের কথা ভাবতো। কিন্তু সে কখনোই কাউকে হৃদয়েরজ
স্বপ্নিল জগতের করুণ কাহিনীটি শোনাতে পারতো না।
এভাবেই সে শৈশব জীবন পেরিয়ে তারুণ্য জীবনে পদার্পণ করল।
বয়সের বাড়ন্তে বাবা-মা মারদিয়্যার বিবাহের জন্য পাত্র খোঁজা শুরু করলেন।
মারদিয়্যা তখনও চোখ লজ্জায় নিজের অন্তরে পুষে রাখা সেই স্বপ্নচোরা যারীফ ছেলেটির কথা জানাতে পারছিল না।
আর তাই তার মনের ভালোলাগা মনেই বন্দি হয়ে গেলো।
একটা সময় বাবা-মা তাকে যোগ্য এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দিলো।
আর এইভাবেই তার জীবনের রঙ্গিন স্বপ্নটি আমাবস্যার আঁধারে যেন হারিয়ে গেলো....!
মাঝে মাঝে সে অবসাদ মনে আনমনা হয়ে ভাবতো- মহান আল্লাহ তায়ালা এ জগতে তাকে তার মনের মানুষের সাথে না মিলালেও আখিরাতে মিলাবেন।
মারদিয়্যা ইচ্ছে করলেই তার স্বপ্নের পুরুষকে হৃদয়ের গচ্ছিত ভালোবাসা সোপে দিতে পারতো।
কিন্তু শুধুমাত্র আল্লাহর ভয়ে সে নিজেকে গুটিয়ে রাখে।
এভাবেই একটি যুগ পেরিয়ে গেলো।
মারদিয়্যার ব্যথাতুর মনে যারীফের অনুপম আদর্শ ও স্মৃতি বিজড়িত দৃশ্যগুলো ভেসে উঠতে থাকে। আর সে প্রতি রাতেই স্বপ্নঘোরে এসে নানাভাবে প্রশান্তির গল্প শুনিয়ে যায়।
মারদিয়্যা ইচ্ছে করলেই তার স্বপ্নের পুরুষকে হৃদয়ের গচ্ছিত ভালোবাসা সোপে দিতে পারতো।
কিন্তু শুধুমাত্র আল্লাহর ভয়ে সে নিজেকে গুটিয়ে রাখে।
এভাবেই একটি যুগ পেরিয়ে গেলো।
মারদিয়্যার ব্যথাতুর মনে যারীফের অনুপম আদর্শ ও স্মৃতি বিজড়িত দৃশ্যগুলো ভেসে উঠতে থাকে। আর সে প্রতি রাতেই স্বপ্নঘোরে এসে নানাভাবে প্রশান্তির গল্প শুনিয়ে যায়।
এখনতো ভার্চুয়্যাল জগত! ইচ্ছে করলেই মারদিয়্যা তার অতীতের ভালোবাসার স্বপ্নপুরুষের সঙ্গে অবৈধ বন্ধন গড়তে পারে।
কিন্তু সে মহান আল্লাহ পাকের আদেশ-নিষেধকে খুবই ভয় করে, সে জানে- মহান আল্লাহ এই অশ্লীল কাজে ভীষণ রাগান্বিত হন, তার প্রিয় সৃষ্টিকে কঠোর শাস্তি দেন।
তাই সে এই হীন চরিতার্থ কাজ থেকে নিজেকে পুত-পবিত্র রেখেছে।
আর মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে প্রতি মধ্যরাতে ফরিয়াদ করে সে বলে,
হে আল্লাহ! হে পরওয়ারদিগার! আমাকে এই জঘন্য পাপকাজ থেকে হিফাজত করো এবং আমার ইজ্জত-আবরু হেফাজত করো।
আর সমস্ত মুসলিম নরনারীকে এই ধরনের কুমনোবাসনা থেকে রক্ষা করো।
আমাকে ধৈর্য্য দান করো,
সহনশীলতা দান করো,
আমার নিষ্পাপ হৃদয় থেকে তার প্রতিচ্ছবি দূরীভূত করে দাও।
ইয়া আল্লাহ! তুমি সমস্ত কিছুর মালিক, তুমিই অন্তর্যামী, তুমি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
ইয়া আল্লাহ! আমাকে নেক পথে চলার তৌফিক দান করো।
আমিন...
কিন্তু সে মহান আল্লাহ পাকের আদেশ-নিষেধকে খুবই ভয় করে, সে জানে- মহান আল্লাহ এই অশ্লীল কাজে ভীষণ রাগান্বিত হন, তার প্রিয় সৃষ্টিকে কঠোর শাস্তি দেন।
তাই সে এই হীন চরিতার্থ কাজ থেকে নিজেকে পুত-পবিত্র রেখেছে।
আর মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে প্রতি মধ্যরাতে ফরিয়াদ করে সে বলে,
হে আল্লাহ! হে পরওয়ারদিগার! আমাকে এই জঘন্য পাপকাজ থেকে হিফাজত করো এবং আমার ইজ্জত-আবরু হেফাজত করো।
আর সমস্ত মুসলিম নরনারীকে এই ধরনের কুমনোবাসনা থেকে রক্ষা করো।
আমাকে ধৈর্য্য দান করো,
সহনশীলতা দান করো,
আমার নিষ্পাপ হৃদয় থেকে তার প্রতিচ্ছবি দূরীভূত করে দাও।
ইয়া আল্লাহ! তুমি সমস্ত কিছুর মালিক, তুমিই অন্তর্যামী, তুমি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
ইয়া আল্লাহ! আমাকে নেক পথে চলার তৌফিক দান করো।
আমিন...

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন