রাবেয়া রাবু
প্রায় নমাস পরে আজ উত্তরের জানালা খুলে পাশে দাঁড়ালাম। সময় তখন বেলা ১১:৩০ হবে। বহু দিন পর কিছুটা অবকাশ নিজের জন্য বের করে নিলাম। জানালা দিয়ে বাইরে তাকাতেই বোকা হয়ে গেলাম!
প্রকৃতি কতটা আনন্দমাখা সরল হৃদয়ে হাতছানি দিচ্ছে! আমার জানালা থেকে
একটু দূরে নাম না জানা একটি বৃক্ষ। চিকন ইয়া লম্বা হয়ে অনেকটা উপরে উঠে ডাল এবং পাতা ছড়িয়েছে। ওকে দেখেই মনে পড়ে গেলো "এক তুহি ধনবান হে গোড়ি বাকি সব কাঙ্গাল"।
একটু দূরে নাম না জানা একটি বৃক্ষ। চিকন ইয়া লম্বা হয়ে অনেকটা উপরে উঠে ডাল এবং পাতা ছড়িয়েছে। ওকে দেখেই মনে পড়ে গেলো "এক তুহি ধনবান হে গোড়ি বাকি সব কাঙ্গাল"।
তাকালাম আমার আসমানের পানে, নীল আসমানে ডানা মেলে ভেসে বেড়াচ্ছিল একটি চিল। হঠাৎ কোথা হতে একঝাঁক পাখি এসে মনের আনন্দে আমার দৃষ্টির গণ্ডির মধ্যেই উড়তে থাকলো। আমার কেন জানি মনে হচ্ছিল ওরা বলছে "আমরা শুধু তোমার জন্য"।
নিমিষেই নিজেকে বেশ সমৃদ্ধশালী মনে হতে লাগলো। ভালোলাগার কত্ত উপকরণ চারপাশে! আমি মোটেই একা নই, আমাকে সঙ্গ দিচ্ছে আমার রবের অনেক মাখলুক। চোখটা কামড়ায় ফিরিয়ে আনতেই দেখি ছোট বোনগুলো আপার দৃষ্টি ফাঁকি দিয়ে আমার দিকে তাকাচ্ছে। ওদের চোখের ভাষা বোঝার চেষ্টা করলাম। হ্যা, স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি ওদের দৃষ্টিতে রয়েছে আমার জন্য সান্নিধ্য।
কত নাদান আমি এত এত ভালোবাসা আর মূল্যায়ন থাকা সত্যেও কোনো বর্ণচোরা মানুষের মূল্যায়নের আশা করে ফেলি কখনো কখনো!!
আপা তাঁর আসন ছেড়ে উঠতেই একঝাঁক কিশোরী দৌড়ে এসে ঘিরে ধরলো আমাকে। আমিও স্বানন্দে বরণ করলাম তাদের। আমার মুখ নিঃশৃত একটি মাত্র শব্দ ওদেরকে আনন্দ শ্রোতে ভাসিয়ে দিলো 'কন্যাদ্বয় দেখেছ প্রকৃতি কতটা আনন্দিত'!
প্রাণ খুলে গল্প আর হাসিতে মেতে উঠলাম সকলে মিলে (যদিও এটা ছিলো আমার জন্য বেশ ঝুকিপূর্ণ)। মাঝে মাঝে কিছু কিছু নিয়ম ভাঙ্গার আনন্দও Survive করার প্রেরণা যোগায়।
আমি কৃতজ্ঞ আমার রবের প্রতি যিনি আমাকে ভালোবাসার ঐশ্বর্য দান করেছেন....

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন