আচ্ছা, একটু ভাবুন তো বন্ধুরা- আকাশের তারকারাজি সব জমিনে,,,,
হ্যাঁ প্রিয়রা, আপনারা যেভাবে কলমচর্চার গভীর অনুরাগী আমিও আপনাদেরই একজন। আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি আমরা যেভাবে হৃদয়ের কাছাকাছি থেকে কলমচর্চা তথা সাহিত্য চর্চা করে চলছি একে অপরকে সাড়া দিচ্ছি, সেদিন বেশি একটা দূরে নয় যেদিন মানুষ বলতে বাধ্য হবে যে ‘তারারা জমিনে'।
আমাদের হৃদয়ের গভীরে অনেক অনেক আশা। এসব আশা স্বপ্ন হয়ে ডানা মেলতে থাকে কল্পনার রাজ্যে। কল্পনার স্বপ্নরাই একদিন বাস্তবে রূপ নেয়। ধরা দেয় হাতের মুঠোয়। এভাবেই আমাদের আশা, আমাদের স্বপ্ন, আমাদের ভালবাসা সব মিলিয়ে ভরে উঠবে আমাদের সুন্দর এই পৃথিবী। কবি গোলাম মোস্তফা খুব সুন্দর বলেছেন,, ‘‘লক্ষ আশা অন্তরে, লুকিয়ে আছে মন্তরে। ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে।
আসলে তাই। আজ যারা পিতা-মাতা, শিক্ষক-সমাজপতি সবাই কিন্তু একসময় শিশু ছিলেন, কিশোর ছিলেন।
গ্রামের কৃষকের ঘরে কাদা মাখামাখি করে বড় হয়েছে যে শিশুটি, কে জানতো সেই আজ দেশ বরেণ্য মন্ত্রী, বিরাট কবি-সাহিত্যিক হবে?
সব মানুষেরই স্বপ্ন দেখতে হয়। স্বপ্ন না দেখলে বড় হওয়া যায়না। পৃথিবীরর সব বড় মানুষ, বড় দেশ স্বপ্ন দেখতে দেখতে বড় হয়েছে। যারা নিজেরা স্বপ্ন দেখে না, অন্যদের স্বপ্ন দেখায় না তারা বড় হতে পারে না, শীর্ষে যেতে পারে না।
স্বপ্ন না দেখলে মানুষ আশা করতে পারে না। যার আশা নেই তার আছে হতাশা। আর হতাশা মানুষকে মেরে ফেলে। আশাই একমাত্র জীবনের প্রতীক।
এই লাইনগুলোতে কবি যথার্থই বুঝিয়েছেন। ‘‘সংসার সমুদ্রমাঝে দুঃখ তরঙ্গের খেলা, আশাই তার একমাত্র ভেলা''
কিছু লোক আছে যারা বলে আমাদের কিছুই নেই, আমরা গরীব, আমাদের দেশটা গরীব, কী হবে আমাদের? আসলে এসব লোক হীনমন্যতায় ভোগে। কথায় বলে ‘চাচীর রান্না মজা বেশি' অর্থাৎ পরেরটা বড় করে দেখার প্রবণতা আছে আমাদের মধ্যে বেশ।
আমাদের কী নেই? আমাদের আছে উদার অসীম নীল আকাশ। আছে সবুজ-শ্যামল আর মায়া মাখা বিস্তীর্ণ ভূমি। আছে এঁকেবেঁকে ছুটে চলা রূপালী নদী। আরো আছে প্রাণ জুড়ানো ফসলের হাসি।
এত মজার মিঠেকড়া রোদ খুব কম দেশেই আছে। ইউরোপের এক লেখক বলেন ‘যদি পারতাম তাহলে তোমাদের বাংলাদেশ থেকে এই মিষ্টি রোদ আমদানি করতাম।' আমাদের মাটি সোনা ফলায়। এর যেখানেই বীজ ফেলিনা কেন সেখান থেকেই বেড়ে ওঠে সবুজ ঘাস কিংবা গাছ। ফুলে ফলে ভরে ওঠে সে গাছের প্রতিটি ডালপালা।
আমাদের আছে মাটির মমতা ভরা সুন্দর ঘরবাড়ি। সেখানে অভাব-দারিদ্র্যের ছাপ আছে ঠিক, কিন্তু পাশাপাশি আছে মা-বাবা, ভাই-বোন, দাদা-দাদী, নাতি-নাতনী আর আত্নীয়-পরিজনের এক অদ্ভুত কোলাহল। ঈদের আনন্দ, নবান্নের উৎসব, অন্যান্য ধর্মের লোকদের পূজা-পার্বন ধর্মীয় সম্প্রীতি।
কোনটাকে চোট করে দেখবেন? আমাদের কেউ মারা গেলে সবাই ছুটা যাই জানাজায়, দাফনে কিংবা শ্মশানে শ্রাদ্ধে আমরা মিলি। ইউরোপ আমেরিকার মত ঘরের কোণে মরে পচে গন্ধ হয়ে থাকে না আমাদের বৃদ্ধ মা- বাবা আর দাদা-দাদীর।
আমাদের আছে ষোল কোটি মানুষ, বত্রিশ কোটি হাত।
একটু চেষ্টা করলেই আমাদের দেশের প্রতিটি মানুষ হতে পারে সোনার মানুষ। কেননা এদেশের মানুষ পরিশ্রমী এবং সৃষ্টিশীল। আসলে আমরা আমাদেরকেই চিনতে পারছিনা। এই তো আমাদের মাটির সন্তান এফ. আর. খান বিশ্বের সর্বোচ্চ দালানের স্থপতি, আর কিনা আমাদের দেশের সংসদ ভবনের নকশা তৈরি করে এমেরিকান।
আর আমাদের হাজার বছরের কীর্তি, সভ্যতা, নির্মাণ এগুলোর কথা কেই বা না জানে,,,? আমাদের আশেপাশে এমন অনেক বন্ধুই আছে যাদের ভেতরটা স্বর্ণপ্রতিভায় ভরপুর। কিন্তু একটা কলমের অভাবে সেটা প্রকাশ পাচ্ছে না আমাদের সামনে। আমরা হয়ে যাচ্ছি বঞ্চিত। আসুননা তাদের হাতে একটা কলম দেই, শক্তিশালী কলম! আর শাণ দেই তাদের কলমেও- স্নাত হই তাদের সেই সুপ্ত প্রতিভায়!
আমরা কি পারিনা জাতিকে সুন্দর একটা স্বপ্ন দেখাতে? তারুণ্যের রঙে রাঙিয়ে দিতে সারা পৃথিবীকে?
তাই বন্ধুরা, আমরা তরুণেরা যদি একটা সংকল্পে সঙ্ঘবদ্ধ হই। নিজেদেরকে তুলে ধরি কলমের মাধ্যমে। তাহলে সত্যিই একদিক সারা বিশ্ব তাকিয়ে দেখবে আমাদেরকে। যেখানেই আমরা যাবো সেখানেই প্রাণের সাড়া পরে যাবে।
হ্যাঁ প্রিয়রা, আপনারা যেভাবে কলমচর্চার গভীর অনুরাগী আমিও আপনাদেরই একজন। আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি আমরা যেভাবে হৃদয়ের কাছাকাছি থেকে কলমচর্চা তথা সাহিত্য চর্চা করে চলছি একে অপরকে সাড়া দিচ্ছি, সেদিন বেশি একটা দূরে নয় যেদিন মানুষ বলতে বাধ্য হবে যে ‘তারারা জমিনে'।
আমাদের হৃদয়ের গভীরে অনেক অনেক আশা। এসব আশা স্বপ্ন হয়ে ডানা মেলতে থাকে কল্পনার রাজ্যে। কল্পনার স্বপ্নরাই একদিন বাস্তবে রূপ নেয়। ধরা দেয় হাতের মুঠোয়। এভাবেই আমাদের আশা, আমাদের স্বপ্ন, আমাদের ভালবাসা সব মিলিয়ে ভরে উঠবে আমাদের সুন্দর এই পৃথিবী। কবি গোলাম মোস্তফা খুব সুন্দর বলেছেন,, ‘‘লক্ষ আশা অন্তরে, লুকিয়ে আছে মন্তরে। ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে।
আসলে তাই। আজ যারা পিতা-মাতা, শিক্ষক-সমাজপতি সবাই কিন্তু একসময় শিশু ছিলেন, কিশোর ছিলেন।
গ্রামের কৃষকের ঘরে কাদা মাখামাখি করে বড় হয়েছে যে শিশুটি, কে জানতো সেই আজ দেশ বরেণ্য মন্ত্রী, বিরাট কবি-সাহিত্যিক হবে?
সব মানুষেরই স্বপ্ন দেখতে হয়। স্বপ্ন না দেখলে বড় হওয়া যায়না। পৃথিবীরর সব বড় মানুষ, বড় দেশ স্বপ্ন দেখতে দেখতে বড় হয়েছে। যারা নিজেরা স্বপ্ন দেখে না, অন্যদের স্বপ্ন দেখায় না তারা বড় হতে পারে না, শীর্ষে যেতে পারে না।
স্বপ্ন না দেখলে মানুষ আশা করতে পারে না। যার আশা নেই তার আছে হতাশা। আর হতাশা মানুষকে মেরে ফেলে। আশাই একমাত্র জীবনের প্রতীক।
এই লাইনগুলোতে কবি যথার্থই বুঝিয়েছেন। ‘‘সংসার সমুদ্রমাঝে দুঃখ তরঙ্গের খেলা, আশাই তার একমাত্র ভেলা''
কিছু লোক আছে যারা বলে আমাদের কিছুই নেই, আমরা গরীব, আমাদের দেশটা গরীব, কী হবে আমাদের? আসলে এসব লোক হীনমন্যতায় ভোগে। কথায় বলে ‘চাচীর রান্না মজা বেশি' অর্থাৎ পরেরটা বড় করে দেখার প্রবণতা আছে আমাদের মধ্যে বেশ।
আমাদের কী নেই? আমাদের আছে উদার অসীম নীল আকাশ। আছে সবুজ-শ্যামল আর মায়া মাখা বিস্তীর্ণ ভূমি। আছে এঁকেবেঁকে ছুটে চলা রূপালী নদী। আরো আছে প্রাণ জুড়ানো ফসলের হাসি।
এত মজার মিঠেকড়া রোদ খুব কম দেশেই আছে। ইউরোপের এক লেখক বলেন ‘যদি পারতাম তাহলে তোমাদের বাংলাদেশ থেকে এই মিষ্টি রোদ আমদানি করতাম।' আমাদের মাটি সোনা ফলায়। এর যেখানেই বীজ ফেলিনা কেন সেখান থেকেই বেড়ে ওঠে সবুজ ঘাস কিংবা গাছ। ফুলে ফলে ভরে ওঠে সে গাছের প্রতিটি ডালপালা।
আমাদের আছে মাটির মমতা ভরা সুন্দর ঘরবাড়ি। সেখানে অভাব-দারিদ্র্যের ছাপ আছে ঠিক, কিন্তু পাশাপাশি আছে মা-বাবা, ভাই-বোন, দাদা-দাদী, নাতি-নাতনী আর আত্নীয়-পরিজনের এক অদ্ভুত কোলাহল। ঈদের আনন্দ, নবান্নের উৎসব, অন্যান্য ধর্মের লোকদের পূজা-পার্বন ধর্মীয় সম্প্রীতি।
কোনটাকে চোট করে দেখবেন? আমাদের কেউ মারা গেলে সবাই ছুটা যাই জানাজায়, দাফনে কিংবা শ্মশানে শ্রাদ্ধে আমরা মিলি। ইউরোপ আমেরিকার মত ঘরের কোণে মরে পচে গন্ধ হয়ে থাকে না আমাদের বৃদ্ধ মা- বাবা আর দাদা-দাদীর।
আমাদের আছে ষোল কোটি মানুষ, বত্রিশ কোটি হাত।
একটু চেষ্টা করলেই আমাদের দেশের প্রতিটি মানুষ হতে পারে সোনার মানুষ। কেননা এদেশের মানুষ পরিশ্রমী এবং সৃষ্টিশীল। আসলে আমরা আমাদেরকেই চিনতে পারছিনা। এই তো আমাদের মাটির সন্তান এফ. আর. খান বিশ্বের সর্বোচ্চ দালানের স্থপতি, আর কিনা আমাদের দেশের সংসদ ভবনের নকশা তৈরি করে এমেরিকান।
আর আমাদের হাজার বছরের কীর্তি, সভ্যতা, নির্মাণ এগুলোর কথা কেই বা না জানে,,,? আমাদের আশেপাশে এমন অনেক বন্ধুই আছে যাদের ভেতরটা স্বর্ণপ্রতিভায় ভরপুর। কিন্তু একটা কলমের অভাবে সেটা প্রকাশ পাচ্ছে না আমাদের সামনে। আমরা হয়ে যাচ্ছি বঞ্চিত। আসুননা তাদের হাতে একটা কলম দেই, শক্তিশালী কলম! আর শাণ দেই তাদের কলমেও- স্নাত হই তাদের সেই সুপ্ত প্রতিভায়!
আমরা কি পারিনা জাতিকে সুন্দর একটা স্বপ্ন দেখাতে? তারুণ্যের রঙে রাঙিয়ে দিতে সারা পৃথিবীকে?
তাই বন্ধুরা, আমরা তরুণেরা যদি একটা সংকল্পে সঙ্ঘবদ্ধ হই। নিজেদেরকে তুলে ধরি কলমের মাধ্যমে। তাহলে সত্যিই একদিক সারা বিশ্ব তাকিয়ে দেখবে আমাদেরকে। যেখানেই আমরা যাবো সেখানেই প্রাণের সাড়া পরে যাবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন