লোকালয় থেকে বিচ্ছিন্ন এক নগরী। যেখানে নেই কোন কোলাহল, অরাজকতা, অশান্তি। নেই কোন মন্দলাগা, নেই বিশ্বাসের নামে অবিশ্বাসের ঘর। আছে সাধারণ মনের সাদাসিধে মানুষের বিচরণ। আসলে এটাতো বাস্তবের নগরী নয়। আর এখানে দশ-পাঁচটা লোকের বসবাসও না। এটা মিতুর কল্পিত নগরী। এখানে মিতুর কল্পনায় বাস। এই একটা জায়গাতেই মিতু বেশ ইচ্ছাধীন চলে। নিজের মতো করে সব সজিয়ে নিয়ে চলে। এই নগরীতে সে কাউকে কল্পনা করে না। কল্পনা করে না বললে ভুল হবে, কল্পনা করতে সাহস পায় না। কল্পনার মাঝেও যদি ধোঁকা দেয়; কম তো হলো না!
এখানে একটা ছোট বাড়ি আছে মিতুর।
বাড়ির পাশে একটা ছোট মাঠ। মাঠ পেরুলেই নদী। চারিদিকে সবুজের সমারোহ। মাথার উপরে সীমাহীন নীলাকাশ। এ বাড়ির আশেপাশে, কাছাকাছিতে কোন জনপদ নেই। এখানে হাসলেও কেউ শোনে না, কাঁদলেও কেউ দেখে না। এখানে কাজ না করলেও কেউ বলেনা- হাতি পুষতে পারবো না। না খেয়ে থাকলেও কেউ বলেনা- কেনো, কার জন্য না খেয়ে থাকিস।এখানে একটা ছোট বাড়ি আছে মিতুর।
মিতু রাত জেগে জেগে নিশাচর হলেও কেউ বলেনা- রাত জাগা ভালো না।
মিতু কর্মহীন বেকার হলেও কেউ বলে না- তোকে গলার মালা করে রাখতে পারবো না। কত শান্তি এখানে! মিতু যদি এমন করেই শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত এই কল্পনার নগরীতে থেকে যেতে পারতো, তবে আর কখনো লুকাতে হতো না তার অতীত ও বর্তমান থেকে!

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন